Select Page

GALLSTONES – পিত্তথলির পাথর রোধে আয়ুর্বেদ এর নির্দেশনা

GALLSTONES – পিত্তথলির পাথর রোধে আয়ুর্বেদ এর নির্দেশনা

পিত্তথলির সাথে যুক্ত সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হলো পিত্তথলির পাথর, যার বেশিরভাগ কোলেস্টরল দিয়ে গঠিত। কিছু পাথর ক্যালসিয়াম ও পিত্ত রঞ্জক দিয়ে গঠিত হয়। যদিও পিত্তথলির পাথরে  প্রায়শই পিত্তের কোলেস্টরলের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে ।

পিত্তরস নিয়ন্ত্রণে এস্ট্রোজন হরমোন এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে যার কারণে মহিলাদের পুরুষের তুলনায় চারগুন ঘন ঘন পিত্তথলিতে পাথর পায়, বিশেষ করে ৪০ বছরের বেশি মহিলারা যারা ফর্সা চামড়ার ও অতিরিক্ত ওজনের তাদের পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

  

আয়ুর্বেদিক প্রতিকার  নির্দেশিকা:

১) যেসব খাবার খেলে এলার্জী হয় প্রথমে এগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং এগুলোকে এরিয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে ডিম এবং দুধ। ধুমপান করার অভ্যাস থাকলে অবশ্যই বাদ দিতে হবে এবং নিয়মিত শারিরীক ব্যায়াম ও যোগ ব্যায়াম করতে হবে।

২)  শরীরে ওজন বেশি হলে অবশ্যই ধীরে ধীরে ওজন কমানের চেষ্টা করতে হবে। এবং খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে কেননা বেশি খাওয়ার কারণে পিত্তথলিতে চাপ দেয়।

৩)  পিত্তথলির পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে প্রতিদিন পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে।

৪) কফি পিত্তরস প্রবাহ বাড়ায় এবং পিত্তথলির ঝুঁকি কমাতে পারে কিন্তু, যেহেতু কফি অনিদ্রা (ঘুম না হওয়া), পেপটিক আলসার ( পাকস্থলীতে একধরণের ঘা হওয়া), প্যানিক অ্যাটাক  ( বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেস বা চাপ) এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরণের সমস্যাগুলিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে তাই অবশ্যই খাওয়ার আগে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

৫) কোলেস্টরলকে পিত্ত এসিডে পরিবর্তন করতে ভিটামিন ‘সি‘ প্রয়োজন । সাধারণত এই ধরণের পরিবর্তন পিত্ত থলির ঝুঁকি কমাতে পারে তাই ভিটামিন সি জাতীয় ফল আমলকী এবং সাইট্রাস ফল খাওয়া উচিৎ।

৬) কিছু কিছু ভেষজ পিত্তরস নিঃসরণে কার্যকর ভুমিকা পালন করে যা পিত্তথলিতে পাথর রোধে বিশেষ ভুমিকা পালন করে যেমন হলুদ, শুকনা আদা, গোলমরিচ, সৈন্ধব লবণ, আমলকী  ইত্যাদি নিত্য সেবনীয়।

৭) মিত আহার, লঘু আহার, লঘু বিরেচক (ত্রিফলা) পিত্তথলিতে পাথর তৈরি না হতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

চিকিৎসাঃ পিত্ত থলিতে পাথর একটি জটিল ব্যাধি তাই সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ ও সেই অনুয়ায়ী চিকিৎসাই সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য চিকিৎসা।

 

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ  উপরিউক্ত চিকিৎসায় রোগী বিশেষ ফল লাভ না হলে, বিশেষজ্ঞ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। 

 

Author

Md. Mobasshirul Islam (Lipto)

Bachelor of Ayurvedic Medicine and Surgery, Government Ayurveda College, Nagpur.

About The Author

Mobasshirul Islam

লেখকের জন্ম ১৯৯৭ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের রংপুর জেলায় জন্মগ্রহন করেন । তিনি শিক্ষাজীবনে মাধ্যমিক মিলনপুর মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা, এবং উচ্চ মাধ্যমিক গুটিবাড়ি ইসলামি ফাজিল মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ এ চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত লেখাপড়া করেন ও পাশাপাশি ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব থিওলজি এন্ড ইসলামীক স্টাডিজ এ ডিগ্রি (স্নাতক) শেষ করেন। তিনি ২০২০ সালে ভারত সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত আইসিসিআর বৃত্তি লাভ করে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাগপুর জেলা "Maharashtra University of Health Science এর অধীনে (Government Ayurveda College, Nagpur)" এ Bachelor of Ayurvedic Medicine and Surgery বিষয়ে পড়াশুনা করছেন।

Pin It on Pinterest

Share This

Share This

Share this post with your friends!