Inflammatory bowel disease/অন্ত্রের প্রদাহ কি? কারণ, লক্ষণ ও আয়ুর্বেদিক ঘরোয়া চিকিৎসা
পাচক তন্ত্রের দুটি সমস্যার মধ্যে একটি হলো ” আলসারেটিভ কোলাইটিস” ও অন্যটি ” ক্রনস ডিসিস” ।এই দুটি সমস্যাকে অন্ত্রের প্রদাহ বা Inflammatory bowel disease বলে।
“আলসারেটিভ কোলাইটিস” হলো বৃহদান্ত্রের প্রদাহ । “ক্রনস ডিসিস” সাধারণত ক্ষুদ্রান্ত্রের নিচের অংশে হয়ে থাকে। তবে পাচক তন্ত্রের যেকোনো জায়গায় হতে পারে।
অন্ত্রের প্রদাহের কারণ:
অন্ত্রের প্রদাহের সঠিক কারণ এখনো জানা যায় নি। যদিও অবসাদ ও ভুল ডায়েটকে কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। কিছু ঘটনা এই রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে:
১)যদি কোনো ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয় ,তবে টক্সিক জীবাণু দ্রুত আক্রমণ করে ও ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
২)পরিবেশের প্রভাব যেমন: শহরে নোংরা পরিবেশে বসবাস করা এবং অতিরিক্ত প্রাণীজ ফ্যাট খাওয়া।
Refine / পরিশোধিত চিনি খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৩) কিছু ক্ষেত্রে অন্ত্রের প্রদাহের সমস্যাটি বংশগত । যদি পরিবারের কোনো সদস্য অন্ত্রের প্রদাহ ভুগছে তবে অন্য সদস্য এই সমস্যায় ভুগতে পারেন। যদি পিতা- মাতার অন্ত্রের প্রদাহজনিত সমস্যা থাকে তবে আপনার ঝুঁকিও হতে পারে।
৪ ) সাধারণত ৩০ বছর বয়সের আগেই শুরু হতে পারে তবে যেকোনো বয়সের মানুষের অন্ত্রের মধ্যে প্রদাহের সমস্যা হতে পারে।
অন্ত্রের প্রদাহের লক্ষণ:
১) জ্বর , ২) পেট ব্যাথা, ৩) ঘন ঘন মল ত্যাগের ইচ্ছা, ৪) ক্লান্তি অনুভব করা, ৫) ওজন কমে যাওয়া, ৬) বাচ্চাদের শারীরিক বৃদ্ধি না হওয়া। ৭) ডায়রিয়া।, ৮) খারাপ হজশক্তি, ৯) হেপাটিক বা পিত্তনালিতে প্রদাহ ও ১০) চোখ, গাট ও চামড়ায় প্রদাহ।
আয়ুর্বেদিক ঘরোয়া প্রতিকার :
১) অল্প পরিমাণ ও প্রয়োজনে বার বার খাবার খাওয়া। একসঙ্গে বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়া যাবে না।
বেশি পরিমাণে ঘোল ও পুষ্টি সমৃদ্ধ তরল খাবার খেতে হবে।
২) মশলাযুক্ত খাবার ও যেকোনো প্রকার “সস” পরিত্যাগ করতে হবে। মাছ, মাংশ,ডিম খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
৩) সাদা চিনি , মুগ ডাল এবং সাদা ময়দার খাবারও অত্যন্ত ক্ষতিকর।
৪) যেসব খাবার অন্ত্রকে বিষমুক্ত ও পরিষ্কার রাখে,যেমন: ফল, শাকসবজি, দই খেতে হবে।
৫) খাবার খাওয়ার পর বিশ্রাম নিতে হবে ও পরিমাণমতো ঘুমাতে হবে।
৬) সমপরিমাণ “বেলের পাউডার ” এর সঙ্গে সমপরিমাণ “গুর” মিশিয়ে দিনে ৩ বার খেতে হবে।
৭) সমপরিমাণ নাগকেশর , চন্দন, মিছরি, মধু নিয়ে এর সঙ্গে পরিমাণমত। মাখন মিশিয়ে দিনে ৩ বার ১০-১৫ গ্রাম খেতে হবে।
যেহেতু অন্ত্রের প্রদাহজনিত সমস্যা বেশিরভাগ সময় ভুল খাবার খাওয়ার জন্য হয়ে থাকে, তাই ডায়েট সঠিক ভাবে মেনে চললে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।