Select Page

Muscle Cramps (মাসল ক্র্যাম্প )’র কারণ, লক্ষণ ও আপদকালীন নির্দেশিকা!

Muscle Cramps (মাসল ক্র্যাম্প )’র কারণ, লক্ষণ ও আপদকালীন নির্দেশিকা!

শীতকালের অতি পরিচিত একটা সমস্যা হচ্ছে মাসল ক্র্যাম্প । ব্যায়ামের সময় , হাঁটা-চলার সময়, সোজা হয়ে ঘুমিয়ে থাকার সময়, সাঁতারের সময় অথবা  নিত্যদিনের খুব সাধারণ কোন কাজ করার সময় হঠাৎ অনুভব করলেন হাত বা পায়ের কোন পেশী শক্ত হয়ে গেল। যাকে সাধারণ ভাষায় ‘খিচ ধরা’ বা ‘টান পড়া’ বলে।

 

কারণ সমুহঃ  

শীতে আমাদের শরীরের অন্য যেকোনো অঙ্গের তুলনার ফুসফুস ও হৃদপিন্ডে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। ফলে অন্যান্য অঙ্গে এবং পেশীতে রক্তের সঞ্চালন তুলনামূলক কম থাকে। এটা পেশী ক্র্যাম্পের অন্যতম কারণ। এছাড়া আরও কিছু কারণে মাসল ক্র্যাম্প হতে পারে, যেমনঃ ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার কারণে মাসল ক্র্যাম্প হতে পারে। শরীরে পর্যাপ্ত পানি ও লবণ না থাকলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। ফলে মাসল ক্র্যাম্প হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 

  • অলসতার কারণে বা অনিচ্ছার ফলে, প্রতিদিনের পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম না হলে শরীরের পেশী ও জয়েন্টের ফ্লেক্সিবিলিটি বা নমনীয়তা কমে যায়। যার ফলসরুপ হঠাৎ সামান্য কাজের ফলেও মাসল ক্র্যাম্প হতে পারে।
  • অধিক ভারী বস্তু হঠাৎ তোলা বা আলগানোর ফলেও মাসল ক্র্যাম্প হতে পারে বিশেষ করে পিঠের কোমরের \ মাসলে টান পড়ার একটা মূল কারণ হঠাৎ এমন ভারী জিনিস তোলা।

মাসল ক্র্যাম্প হলে কি করবেন?

১) স্ট্রেচিং (Stretching) এর মাধ্যমে দ্রুত পেশী স্বাভাবিক করে আনা যায়। বিশেষ করে যে পেশীতে ক্র্যাম্প হয়েছে সে পেশীর উপর ফোকাস করে স্ট্রেচ করলে ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যাবে। যেমন থাইয়ের (Thighs) সামনের দিকের পেশীতে ক্র্যাম্প হলে পা পিছনের দিকে ভাঁজ করুন অর্থাৎ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আক্রান্ত পায়ের হিল নিতম্বে লাগালে  দ্রুত আরাম পাওয়া যাবে ।

২) পাশাপাশি ম্যাসাজ বা গরম সেক দিয়েও সমস্যা লাঘব করা যায়।

৩) কাজের সময় মাসল ক্রাম্প হলে লেবু পানির সাথে সামান্য লবণ যোগ করে খেলে বেশ আরাম পাওয়া যায়।

 

পেশী ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পাওয়ার বা এই সমস্যা এড়ানোর কিছু সহজ উপায় আছে, আসুন জেনে নেয়া যাক সেই উপায়গুলো ।

১)  শীতের কারণে ক্র্যাম্প হতে পারে। তাই শীতে গায়ে রাখুন পর্যাপ্ত শীতপোশাক, হাত মোজা ও পা মোজা। যাতে শীতের এই হিমঠান্ডা আপনার মাসল ক্র্যাম্পের কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।

২)  আপনি যে কাজই করেন না কেন, সকল কাজ করার একটা সঠিক পদ্ধতি আছে। পিঠে ব্যাগ নেয়া বা ঝুঁকে কিছু তোলা; সবকিছুই এমনভাবে করা উচিত যাতে হাঁড়ে, জয়েন্টে বা পেশীতে বেকায়দায় চাপ বা টান না পড়ে। আর হঠাৎ খুব ভারী কিছু তোলা বা বহন করা থেকে বিরত থাকুন।

৩) পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান। যেমনঃ ডাবের পানি, কমলা,কলা, স্যালাইন পানি ইত্যাদি। এইসব মিনারেল আপনার মাসল ক্র্যাম্প প্রতিরোধে সাহায্য করবে।

৪) প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট সাইক্লিং করতে পারেন অথবা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এতে আপনার শরীর ফিট থাকবে এবং পেশী ফ্লেক্সিবল থাকবে। ফলে হঠাৎ পেশী ক্র্যাম্প হবে না।

৫) শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে (প্রায় প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস) পানি বা তরল খাবার খেতে হবে।

৬) বার্ধক্য জনিত রোগে রোগীর রক্ত সঞ্চালন যেন স্বাভাবিক থাকে সেক্ষেত্রে নিয়মিত ১৫ মিনিট উষ্ণ পানিতে পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। এতে মাসল ক্রাম্প এর ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে।

৭) নিয়মিত শরীরে তেল মালিশ করলে (শীতে উষ্ণ তেল) রক্ত সঞ্চালন সচল থাকে। এতে মাসল ক্রাম্পের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

 

Md Samaun Reza Dalim
DAMS ( Diploma In Ayurvedic Medicine and Surgery) 2nd Year.
Nur- Majid Ayurvedic Medical College And Hospital.

About The Author

Pin It on Pinterest

Share This

Share This

Share this post with your friends!