শাক বর্গের পুষ্টি গুনাগুনের অদ্যেপান্ত!
শাকবর্গঃ
আমরা দৈনন্দিন জীবনে শাকসবজি খেয়ে থাকি। পাতা, ফুল-ফল, নাল, কন্দ, সংস্বেদজ ইত্যাদিকে একত্রে আয়ুর্বেদ এ শাক নামে অবিহিত করা হয়। শাকের এই ৬ টির মধ্যে পাতা অন্যগুলোর তুলনায় দ্রুত হজম হয়।
শাকের সাধারণ গুণঃ শাক প্রায়শই গুরুপাক (সহজে হজম হয় না) ও পেটফাঁপা কারক, মলমূত্র বর্ধক, শরীরের পোষক, নানাবিধ খনিজ ও ভিটামিন উপাদানে সমৃদ্ধ হেতু জীবনী শক্তি বর্ধক এবং স্বাস্থ্য সম্পাদক। সকল প্রকার শাক-সবজি ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে তেল বা ঘি দিয়ে রান্না করে খেতে হয়। অপরিষ্কার শাক খেলে পেটের পীড়া, কৃমি ও অম্লপিত্ত (গ্যাসের সমস্যা) হয়। (রেফারেন্সঃ দ্রব্যগুণ সংহিতা )
সকল শাক ই অল্প সিদ্ধ করে জলটা ফেলে দিয়ে রান্না করতে হয়, তবে ব্যতিক্রম বেতোশাক।
১) বেতোশাক
সংস্কৃত নামঃ বাতুক,বাস্তক,শাকরাট।
ল্যাটিন নামঃ Chenopodium album, Linn.
বেতোশাক সাধারণত লাল ও সাদা দুই ধরনের হয়ে থাকে। এটি শীতকালে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
গুণ ও আময়িক প্রয়োগঃ উভয় প্রকার বেতোশাকই মধুর রস, বিপাকে কটু, অগ্নিবর্ধক (হজমে সহায়ক), প্লীহানাশক (প্লীহা রোগে উপকারি),রক্তপিত্ত প্রশমক (শরীরের উষ্ণতা কমায়), অর্শ নাশক, ক্রিমিঘ্ন এবং ত্রি-দোষের শান্তিকারক, বলকারক, শুক্র রোধক স্ত্রীলোকের স্রাবাদির নিবারণকারক। বেতের শাকের রস দিয়ে বানানো তেল মাথার খুশকি, উকুন, চুলের গোঁড়ার ঘা নাশক।
২) নটে শাক / ডাটা শাক / মাইরা শাক/ লাল শাক
গুণ ও আময়িক প্রয়োগঃ ইহা অগ্নিদীপক, লঘুপাক, শীতল, রুক্ষ, পিত্তনাশক, মল-মুত্র প্রবর্তক, দাহ ও ভ্রম নাশক, রুচিকর,অগ্নিবর্ধক এবং কফ,পিত্ত,প্রদর, রক্তদুষ্টি ও উত্তম বিষদোষ নাশক। তাই হরিত সংহিতায় ডাটামূল বেটে গরম জল সহ পান করলে বমন হয়ে বিষ নিরাময় হয়।
নখকুনি জনিত ব্যাথায় নাটের মূল চূর্ণ দিলে বেদনা ও পাকাদি নিবারিত হয়।
~(বংগসেন)
ডাটা শাকের ফাণ্ট (Decoction) (রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া) রক্তপিত্ত রোগে হিতকর রক্তপিত্ত রোগে ডাঁটাশাক উত্তম পথ্য।
শ্বেত প্রদরে ও রক্ত প্রদরে মূল বেটে (আনুমানিক ২ চামচ পরিমাণ চূর্ণ / রস) আতপ চালের জলে ক্বাথ করে (১ কাপ) সহ সেব্য।