দুধ উপবর্গের পুষ্টি গুনাগুনের আদ্যেপান্ত!
দুধ উপবর্গের মধ্যে দধি, ঘি এবং মাখন অনেক উপকারী বিবেচনা করা হয় এবং এই দুধ উপবর্গের দ্রব্য গুলো দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা গুলোর সাময়িক সমাধানে ক্ষেত্রে উপকারী। আজ দুধ উপবর্গের দ্রবগুলো নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন আলোচনা করা যাক….
- দধিঃ
দধি সাধারণত স্বাদে টক হয় এবং হজমের পরও একই স্বাদে থাকে। দধি কোষ্ঠ্যকাঠিন্য বাড়ায় মানে ডায়রিয়ার সময় দধি খেলে এটা আপনার মল আটকে রাখবে ডায়রিয়ার সময় ব্যবহার করলে অবশ্যই উপরের ক্রিম সরিয়ে ব্যবহার করতে হবে। হজম হতে সময় লাগে, উষ্ণ গুন সম্পন্ন। দধি মেদ, শুক্র, শক্তি, রক্ত এবং হজমক্ষমতা বাড়ায়। রুচি বাড়ায় এবং স্বাদের অনুভূতি বাড়ায়। ঘন ঘন জ্বর আসা, প্রসাবের জ্বালা পোড়ার জন্য উপকারী হয়। রাতে দধি খাওয়া উচিত নয়। দধি গরম করা উচিত না। শরৎ, বসন্ত এবং গ্রীষ্মে দধি খাওয়া উচিত না। দধি পুরোপুরি দধি না হওয়া পর্যন্ত নেওয়া উচিত না৷ দধি খাওয়ার সময় যদি উপরোক্ত বিষয় খেয়াল না করা হয় তবে সেটা অন্য রোগের দিকে নিয়ে যাবে, যেমনঃ জ্বর, রক্তস্রাব, এলার্জি, রক্তশূন্যতা এবং মাথাঘোরার মতো রোগের উপদ্রব হতে পারে।
- মাখনঃ
মাখন সাধারণত যৌনউত্তেজনা বৃদ্ধি করে এবং এটি শীতল গুন সম্পন্ন। মাখন গায়ের রং এবং চামড়ার (skin disease) এর জন্য উপকারী হয়ে থাকে। এটি হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে বল প্রদান করে। মাখন পানি শোষণ করে। মাখন ফ্যাসিয়াল প্যারালাইসিস, কাশি এর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- ঘিঃ
ঘি বুদ্ধিমত্তা, স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চঞ্চলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।হজম শক্তি বৃদ্ধি করে দীর্ঘায়ু করে। ঘি খুবই স্বাস্থ্যকর বাচ্চাদের এবং তরুণদের জন্য। শরীরে কোমলতা প্রদান করে।বুকের চোট, দীর্ঘদিনের জ্বর, বিষক্রিয়ার, দুর্বলতার জন্য উপকারী হয়ে থাকে। স্নিগ্ধতা প্রধানকারী দ্রব্যের মধ্যে ঘি শ্রেষ্ঠ। এবং শরীরে শীতলতা প্রদান করে।